প্রস্তাবনা
বরিশাল বিভাগ থেকে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে
‘বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’। বরিশালের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি,
চিন্তন, মনন, স্বাতন্ত্র্য, নৈপুণ্য ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই সংগঠনের সদস্যবৃন্দ প্রতিষ্ঠালগ্ন
থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। ২০ মার্চ, ২০২০ তারিখে বিডিএসের সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে গঠিত গঠনতন্ত্র
প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক রাসেল এবং সদস্য সচিব মো. মুশফিকুর রহমান তানিমের সমর্থনে গঠনতন্ত্রটি
প্রস্তাব করা হলো।
প্রথম
ভাগ (ধারা ১-৬)
সংগঠন
ও সাংগঠনিক কাঠামো
১। নামকরণ :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে সংগঠন পরিচালিত হয় সে সংগঠনের সাংগঠনিক
নাম হবে, ‘বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ যার ইংরেজি
নাম ‘Barishal Divisional Students
Association, Comilla University’ সংক্ষেপে বাংলায় ‘বিডিএসএ’ নামে ও ইংরেজিতে
'BDSA' নামে অভিহিত হবে।
২। লোগো বা প্রতীক :
৩। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বরিশাল বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের
মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করাই ‘বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’
এর মূল লক্ষ্য।
৪। সদস্য :
বরিশাল বিভাগ থেকে আগত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত
সকল শিক্ষার্থী এই সংগঠনের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
৫। সাংগঠনিক কাঠামো :
ক) সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১ বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী
কমিটি থাকবে।
খ) কার্যনির্বাহী
কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে ৪১ জন (বিশেষ পরিস্থিতিতে পরিবর্তনশীল)। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে
কর্মঠ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে এই কমিটি।
৬। উপদেষ্টামন্ডলী :
ক) সংগঠন পরিচালনার স্বার্থে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে।
খ) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভাইস চ্যান্সেলর পদাধিকার বলে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকবেন।
গ) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের শিক্ষকগণ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে পরিগণিত হবেন।
ঘ) কুমিল্লায় অবস্থানরত
বরিশাল বিভাগের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গদের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
করা যেতে পারে।
ঙ) ‘বিডিএসএ’ এর
সাবেক সকল কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্য হিসেবে পরিগণিত হবেন।
(চ) ‘বিডিএসএ, কুবি’র
সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন থেকে মনোনীত ৫ জন ব্যক্তি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত
হবেন।
(ছ) ‘বিডিএসএ’ এর উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত গুরুত্বপূর্ণ এবং সক্রীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ উপদেষ্টা পরিষদের আজীবন সদস্য হিসেবে মনোনীত করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়
ভাগ (ধারা ৭-১৪)
সাংগঠনিক
কার্যাবলি
৭। কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য নির্বাচন :
ক) চলমান কমিটির সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে কর্মঠ ও দক্ষতার
ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
খ) চলমান কমিটির
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার (ভার্চুয়্যাল আলোচনা
সভাও গ্রহণযোগ্য) আয়োজন করবে। তবে সেক্ষেত্রে সাবেক কমিটির সদস্যদের কমপক্ষে ৭ দিন
আগে নোটিশ দিতে হবে।
গ) আলোচনা সভায়
চলমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারন হিসেবে নাম প্রস্তাব
করবেন এবং সাবেকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।
বাকী সদস্যদের চলমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মঠ ও দক্ষতার ভিত্তিতে পদায়ন
করবেন।
ঘ) কার্যনির্বাহী
কমিটির কোন সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে যদি ছাত্রত্ব হারান বা স্ব-ইচ্ছায় অব্যাহতি
চান তবে সেই পদ শুন্য বলে বিবেচিত হবে এবং উক্ত পদে ৭এর (খ) অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে
নতুন সদস্য নির্বাচন করবেন।
ঙ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে
সহ-সভাপতি পদের মধ্যে থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের মধ্যে থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে
মনোনীত করা যাবে। তবে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ৬ এর (ঙ) ধারায় বর্ণিত উপদেষ্টা পরিষদের পূর্বানুমতি
নিতে হবে।
(চ) চলতি দায়িত্ব
পালনরত (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) স্নাতক চূড়ান্ত পর্ব শেষ করার পূর্বেই নতুন কমিটি
প্রদানের লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র মোতাবেক যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
৮।
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের কার্যাবলী ও ক্ষমতা :
ক) প্রতিমাসে নূন্যতম একটি করে সভার আহবান করবেন।
খ) সংগঠনের সকল
কাগজ পত্র সংরক্ষণ করবেন এবং পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট বুঝিয়ে দেবেন।
গ) দায়িত্ব প্রাপ্ত
কার্যনির্বাহী সদস্যগণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আগত ছাত্রছাত্রীদের সকল ধরণের
সহযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সদ্য ভর্তি হওয়া নবীন ছাত্রছাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ
ও সংরক্ষণ করবেন।
৯। সভা সমিতির বিধান :
ক) জরুরী অবস্থায় অন্তত ২ দিন এবং সাধারণ অবস্থায় অন্তত ৭
দিনের নোটিশে সদস্যদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী অবস্থায় এক-পঞ্চমাংশ ও সাধারণ অবস্থায়
এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ হবে।
খ) রিকুইজিশন সভা
: ‘বিডিএসএ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’এর সদস্যরা চাইলে রিকুইজিশন সভার আহবান করতে পারেন।
এ সভার জন্য সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত রিকুইজিশন পত্র ৭ দিনের
মধ্যে কার্যনির্বাহী সকল সদস্যের নিকট পেশ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্যনির্বাহী
কমিটি যদি সভা আহবান না করেন তাহলে এই রিকুইজিশন পত্র সভার আমন্ত্রণলিপি হিসেবে গণ্য
হবে এবং এই সভা সম্পূর্ণ বৈধ। তবে রিকুইজিশন সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবেনা।
১০। নিয়ম ও শৃঙ্খলা :
ক) কোন সদস্য যদি অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে বা ‘বিডিএসএ’
এর বিরোধীতা করে তবে সে সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা হবে। এ ক্ষেত্রে আগে নূন্যতম ৩
দিনের কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে তাদের লিখিত বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দিতে হবে।
খ) কোন সদস্যের
বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন বা রাষ্ট্রীয় কোন অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠলে সে সদস্যের
সদস্য পদ স্থগিত থাকবে। এবং সে অপরাধ প্রমাণিত হলে সে সদস্যের সদস্যপদ থেকে সাধারণ
সভায় আলোচনা সাপেক্ষে স্থায়ী বহিষ্কার করা যাবে।
(গ) কোন সদস্যকে
বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ৬ এর (ঙ) ধারায় বর্ণিত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমতি নিতে
হবে।
১১।
অর্থতহবিল :
ক) প্রতিটি সাংগঠনিক
কাজের পূর্বে কার্যনির্বাহী কমিটি একটি বাজেট নির্ধারণ করবেন এবং সেই বাজেট অনুযায়ী
সদস্যদের কাছ থেকে সমান হারে চাঁদা আদায় করবেন।
খ) বৃহৎ কোন কাজের
উদ্যোগ নেয়া হলে সাধারণ সভায় আলোচনা সাপেক্ষে স্পন্সর এর ব্যবস্থা করা যাবে।
(গ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদক ব্যাংক হিসাব পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।
১২।
জবাবদিহিতা :
ক) প্রতিটি কমিটি
দায়িত্ব হস্তান্তরের পূর্বে একটি সাংগঠনিক রিপোর্ট জমা দেবেন। যেখানে তাদের মেয়াদকালের
সকল কার্যক্রমের বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে এবং ফান্ড সংক্রান্ত বিষয় বিস্তারিত উল্লেখ
থাকবে।
খ) সদস্যদের কাছে
কার্যনির্বাহী কমিটির কোন কাজে অসন্তোষ দেখা দিলে সদস্যগণ সাধারন সভায় নির্দিষ্ট সে
বিষয়ে জবাবদিহিতা চাইতে পারেন। তবে সে সম্পর্কে আগে থেকেই কার্যনির্বাহী কমিটিকে উক্ত
বিষয় সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
১৩।
অন্যান্য সংস্থার সাথে সম্পর্ক :
ক) যেকোন সংগঠনের
যেকারো ইতিবাচক উদ্যোগে আয়োজিত কাজে বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সহায়ক
ভূমিকা পালন করবে।
খ) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের
আঞ্চলিক সংগঠনের কোন প্রোগ্রামে ‘বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কুবি’ সমর্থন
এবং অংশগ্রহণ করতে পারবে।
গ) সরকার বা রাষ্ট্রবিরোধী
আদর্শে গড়া যে কোন সংগঠনের সাথে ‘বরিশাল ডিভিশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কুবি’ কখনো
কোন সাংগঠনিক সম্পর্ক রাখতে পারবেনা।
১৪। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন :
ক) ১, ৩ এবং ১৪ নং ধারা অপরিবর্তনীয়।
খ) সাংগঠনিক প্রয়োজনে
যে কোন পরিবর্তনশীল ধারা পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে চার-পঞ্চমাংশ সাধারণ সদস্যের
লিখিত সমর্থনে পরিবর্তন করা যাবে।
0 Comments