কুবিকে কখনোই কালো তালিকাভূক্ত করা হয়নি : ইউসিএ

 


কুবিকে কখনোই কালো তালিকাভূক্ত করা হয়নি : ইউসিএ

কুবি প্রতিনিধি



কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে (কুবি) কখনোই কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি বরং অগ্রাধিকার দেয়া হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি ফর দ্যা ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ)। সোমবার (৩০ মে) রাত ১০.৪০ এ ইউসিএ থেকে এই সম্পর্কিত ইমেইল প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এই ইমেইলের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া গুজবের অবসান ঘটলো। কুবিকে কখনোই কালো তালিকাভূক্ত করা হয়নি : ইউসিএ

উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যুক্তরাজ্যের কমিউনিটি ভিত্তিক একটি গণমাধ্যম থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এর সূত্র ধরে ২১এপ্রিল বাংলাদেশেরও একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালোতালিকাভূক্ত করা হয়েছে’ এমন সংবাদ প্রচার করলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে গত ৯ মে ইউসিএ উপাচার্য সাথে এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগের পাশাপাশি এ সম্পর্কিত তথ্য ও দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার করার অনুরোধ জানিয়ে ইমেইল প্রেরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ইমেইল বার্তায় ইউসিএ কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাসপেন্ড না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এ বিষয়ে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমার সাথে ইউসিএ উপাচার্যের একাধিকবার ফোন ও ইমেইলে যোগাযোগ হয়েছে। আজ ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ নিশ্চিত করেছে যে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই কালো তালিকাভুক্ত ছিলো না বরং তাদের এডমিশন এবং রিক্রুটমেন্ট অফিস আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দেয়৷

কুবিকে কখনোই কালো তালিকাভূক্ত করা হয়নি : ইউসিএ

তিনি আরও বলেন, কিছু মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় ‘কুমিল্লা কালোতালিকাভূক্ত নয়’- এই প্রতিষ্ঠিত বিষয়টাকেও আবার প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে, সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তবে তারপরের প্রাপ্তিটা দারুণ। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, আল্টিমেটলি সত্য কখনোই গোপন থাকে না। ফেইক জার্নালিজম কখনোই জয়ী হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষা করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করতে ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে সবসময়ের মতোই আমার কাজ অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য কমিউনিটি ভিত্তিক একটি গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের একটি বেসরকারী গণমাধ্যমে খবরে বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) – এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও রয়েছে দাবি করা হলে বিতর্কের ঝড় উঠে।

  • Comilla University

Post a Comment

0 Comments